Typhoid Needs Attention

কী করে জানবো আমার টাইফয়েড হয়েছে কী না?

আন্দাজ বা অপেক্ষা নয়, পরীক্ষা করান

টাইফয়েড রোগ দ্রুত নির্ণয় করা গেলে গুরুতর জটিলতা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে বাঁচা সম্ভব। যদি আপনি প্রবল জ্বর, দুর্বলতা, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো প্রাথমিক লক্ষণগুলি দেখতে পান, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।[1] যদি, বিশেষ করে টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব থাকা এলাকায় ভ্রমণ করা বা বসবাস করার পরে আপনার তিন দিনের বেশি স্থায়ী জ্বর থাকে, তাহলে আর দেরি না করে চিকিৎসকের সহায়তা নিন।[2]

রক্ত পরীক্ষা টাইফয়েড জ্বর নির্ধারণ করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়। কম নির্ভরযোগ্য হওয়ায় এ ক্ষেত্রে মল এবং প্রস্রাব পরীক্ষা সাধারণত সুপারিশ করা হয় না।[2]

টাইফয়েড নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষার প্রকার

টাইফয়েড নির্ণয়ের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়, যখন আপনার ডাক্তার সন্দেহ করেন যে আপনার বিপজ্জনক জীবানুঘটিতে জ্বর হয়েছে। এই পর্যায়ে, রোগীরা ফ্যাকাশে, অলস হয়ে পড়েন এবং তাঁদের দেহে জলাভাব দেখা দিতে পারে। ত্বকে, বিশেষ করে আপনার বুক এবং পেটের উপরে ফুসকুড়ি বা দাগ দেখা দিতে পারে (যা গাঢ় রঙের ত্বকে
দেখতে পাওয়া কঠিন হতে পারে)। আপনার লক্ষণগুলির উপর ভিত্তি করে, আপনার ডাক্তার টাইফয়েড পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেবেন।[2]

টাইফয়েড পরীক্ষা নিয়মিতভাবে রক্তের নমুনা দিয়ে করা যেতে পারে, এবং খুব কম ক্ষেত্রেই প্রস্রাব, মল এবং অস্থি মজ্জা পরীক্ষা করা হয়।[3]

রক্তের ​​কালচার

টাইফয়েড পরীক্ষা করার জন্য রক্তের ​​কালচার হল সবচেয়ে পছন্দের, নির্ভরযোগ্য এবং প্রচলিত পদ্ধতি, তবে এর নিজস্ব সীমাবদ্ধতা রয়েছে।[2] প্রথম সপ্তাহে এটির শনাক্তকরণের হার ৯০% এবং নেতিবাচক ফলাফল নিশ্চিত করতে মাইক্রোবায়োলজি পরীক্ষাগারে পাঁচ দিন পর্যন্ত নমুনা পর্যবেক্ষণ করতে হতে পারে।[4]

কোনও স্পষ্ট কারণ ছাড়াই কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা জ্বরের কারণ অনুসন্ধানের জন্য অস্থি মজ্জা কালচার হল পছন্দের পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি। অসুস্থতার পরবর্তী পর্যায়েও টাইফয়েড শনাক্তকরণের জন্য এই পরীক্ষাটি ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ এটি অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার পরেও ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করতে পারে।[4] তবে, এই পরীক্ষাটি সাধারণত ব্যবহৃত হয় না, কারণ এটি যন্ত্রণাদায়ক এবং সমস্ত পরিস্থিতিতে সম্ভব নাও হতে পারে।[5] যদি অজানা কারণে হওয়া জ্বরের উৎস জানতে অস্থি মজ্জা পরীক্ষা করা হয়, তাহলে টাইফয়েডের সম্ভাবনা নাকচ করার জন্য নমুনা কালচারের জন্য পাঠাতে হবে।

টাইফয়েড নির্ণয়ের জন্য মল কালচার পদ্ধতি নির্ভরযোগ্য নয় কারণ এটি সুস্থ হয়ে উঠছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক ফলাফল দেখাতে পারে। তবে, কেউ দীর্ঘস্থায়ী বাহক কী না- তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা সহায়ক হতে পারে। টাইফয়েড পরীক্ষা করার জন্য প্রস্রাব কালচার আদর্শ পদ্ধতি নয়।[2]

ভারতে, টাইফয়েড জ্বর শনাক্তকরণের জন্য ওয়াইডাল পরীক্ষা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।[2] এটি টাইফয়েড ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি শনাক্ত করে এবং অসুস্থতার দ্বিতীয় সপ্তাহে এই পরীক্ষা করা হয়। তবে, ওয়াইডাল পরীক্ষার সংবেদনশীলতা এবং নির্দিষ্ট প্রয়োগ কম। যার অর্থ, এটি কখনও কখনও ম্যালেরিয়া বা অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের মতো রোগেও টাইফয়েড হিসেবে মিথ্যা ইতিবাচক ফলাফল দেখাতে পারে।

তথ্যের উৎস

দায় অস্বীকার: ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের একটি জনসচেতনতামূলক উদ্যোগ। এই ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু টাইফয়েড সম্পর্কে সাধারণ তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে তৈরি। এটিকে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়। এখানে প্রদর্শিত চিকিৎসক, চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং গ্রাফিক্স শুধুমাত্র চিত্রণমূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে। আপনার অবস্থা সম্পর্কে যে কোনও চিকিৎসা পরামর্শ বা প্রশ্ন বা উদ্বেগের জন্য আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Scroll to Top
This site is registered on wpml.org as a development site. Switch to a production site key to remove this banner.